Table of Contents
হনুমান চালীসা (Hanuman Chalisa in Bengali) কী?
হনুমান চালীসা (Hanuman Chalisa in Bengali) হিন্দু ধর্মে ভগবান হনুমানজিকে নিবেদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভক্তিমূলক স্তোত্র। এটি গোস্বামী তুলসীদাসজির দ্বারা রচিত এবং এতে ৪০টি ছন্দের মাধ্যমে ভগবান হনুমানজির মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। হনুমান চালীসার নিয়মিত পাঠের মাধ্যমে ভক্ত আত্মবিশ্বাস, সাহস এবং ভক্তির অনন্য শক্তি লাভ করে। এর মাধ্যমে হনুমানজির কৃপায় সমস্ত বাধা দূর হয়।
হনুমান চালীসার মহিমা ও গুরুত্ব: হনুমান চালীসা পাঠের প্রধান উদ্দেশ্য হল ভগবান হনুমানজির কৃপা লাভ করা। এটি শুধুমাত্র একটি ভক্তিমূলক স্তোত্র নয়, বরং এর মাধ্যমে আত্মশক্তি ও ভক্তি মজবুত হয়। ভক্তরা নিয়মিত হনুমান চালীসার পাঠের মাধ্যমে নিজেদের জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। হনুমানজির কৃপায় জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয়, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, এবং মানসিক ও শারীরিক শক্তি লাভ হয়।
হনুমান চালীসার পাঠের উপকারিতা:
- আত্মবিশ্বাস ও সাহস: হনুমান চালীসার নিয়মিত পাঠ ভক্তদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নতুন মাত্রা এনে দেয়।
- সমস্যার সমাধান: যেকোনো ধরণের বাধা, সমস্যা বা জীবনের প্রতিকূলতা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।
- শান্তি ও মনোবল: এর মাধ্যমে ভক্তের মন শান্ত থাকে এবং জীবনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মনোবল বৃদ্ধি পায়।
- আধ্যাত্মিক উন্নতি: হনুমান চালীসার নিয়মিত পাঠ আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং ভগবানের নিকট কৃপা লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
হনুমানজির মাহাত্ম্য: হনুমানজি হলেন ভগবান রামের একজন প্রধান ভক্ত এবং রামের প্রতি তাঁর ভক্তি ও নিষ্ঠা অতুলনীয়। তিনি শক্তি, বুদ্ধি, ভক্তি ও সাহসের প্রতীক। তাঁর প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করে মানুষ নিজেদের জীবনে এই সমস্ত গুণাবলী অর্জন করতে পারে।
অলৌকিক রচনার গল্প
একটি প্রসিদ্ধ কাহিনীর মতে, তুলসীদাসজিকে মুঘল সম্রাট আকবর বন্দী করেছিলেন, কারণ তুলসীদাসজি সম্রাটের আদেশে কোন চমৎকার দেখাতে অস্বীকার করেছিলেন। জেলে থাকাকালীন, তুলসীদাসজি হনুমান চালীসার রচনা করেছিলেন হনুমানজির সাহায্য পাওয়ার জন্য। শীঘ্রই সম্রাটের দরবারে বানরের একটি বিশাল দল এসে অরাজকতা সৃষ্টি করে। এই ঘটনাটি দেখে সম্রাট তুলসীদাসজির অলৌকিক ক্ষমতা উপলব্ধি করেন এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেন। এই কাহিনী হনুমান চালীসার অলৌকিক ও রক্ষাকবচের শক্তির প্রতীক, যা এর জপ করার মাধ্যমে লাভ করা যায়।
চালীসার পদ্ধতি
হনুমান চালীসার (Hanuman ji ki Chalisa) পাঠ করার জন্য সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। সকাল বা সন্ধ্যায় স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরুন। ভগবান হনুমানজির মূর্তি বা ছবির সামনে প্রদীপ জ্বালান। হনুমানজির আরতির (Hanuman Aarti) সঙ্গে চালীসার পাঠ করুন। চালীসার পাঠ করলে ব্যক্তি অভ্যন্তরীণ শক্তি এবং শান্তি লাভ করে।
হনুমান চালীসার পাঠ (Download Hanuman Chalisa Full in Bengali)
দোহা:
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ, নিজ মন মুকুর সুধারি।
বর্ণৌ রঘুবীর বিমল যশু, যো দায়াক ফল চারি।।
বুদ্ধিহীন তনু জানিকে, সুমিরৌ পবন-কুমার।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহিঁ, হারহু ক্লেশ বিকার।।
চৌপাই (Download Hanuman Chalisa Full in Bengali):
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর। জয় কপিশ তিহু লোক উজাগর॥
রামদূত অতুলিত বলধামা। অঞ্জনি পুত্র পবনসুত নামা॥
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী। কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী॥
কাঞ্চন বরন বিরাজ সুভেসা। কানন কুন্ডল কুঞ্চিত কেশা॥
হাথ বজ্র অউ ধ্বজা বিরাজৈ। কান্থে মুঞ্জ জনেউ সাজৈ॥
শঙ্কর সুভন কেসরী নন্দন। তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর। রাম কাজ করিবে কো আতুর॥
প্রভু চরিত্র শুনিবে কো রসিয়া। রাম লখন সীতা মন বাসিয়া॥
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়হি দেখাবা। বিকট রূপধরি লঙ্কা জলাবা॥
ভীম রূপধরি অসুর সংহারৈ। রামচন্দ্র কে কাজ সঙ্ভারৈ॥
লায় সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে। শ্রী রঘুবীর হর্ষ উর লায়ে॥
রঘুপতি কিনহি বহুৎ বড়াই। তুম মম প্রিয় ভরত সম ভাই॥
সহস্র বদন তুমহরো যশ গায়ে। আস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লাগায়ে॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদিক মুনীশা। নারদ শারদ সহিত অহীশা॥
যম কুবের দিগপাল যেখানে। কবি কোবিদ কহি সকে কাহাঁ তেহি॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কিনহা। রাম মিলায় রাজপদ দিনহা॥
তুমহরো মন্ত্র বিভীষণ মানা। লঙ্কেশ্বর ভয় সব জগ জানা॥
যুগ সহস্র যোজন পর ভানু। লীল্যো তাহি মধুর ফল জানু॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী। জলধি লাংঘি গয় অচরজ নাহি॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে। সুগম অনুগ্রহ তুমহরো তেতে॥
রাম দুয়ারে তুম রাখওয়ার। হোত না আজ্ঞা বিনু পৈসার॥
সব সুখ লহে তুমহারী শরণা। তুম রক্ষক কাহু কো ডর না॥
আপন তেজ সমহারো আপৈ। তিনো লোক হাঁক তে কাঁপৈ॥
ভূত পিশাচ নিকট নাহি আবে। মহাবীর জব নাম সুনাবে॥
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা। জপত নিরন্তর হনুমত বীরা॥
সঙ্কট তে হনুমান ছুড়ায়ে। মন ক্রম বচন ধ্যান জো লায়ে॥
সবপর রাম তপস্বী রাজা। তিনকে কাজ সকল তুম সাজা॥
অউর মনোরথ জো কোই লায়ে। তাসু অমিত জীবন ফল পায়ে॥
চারো যুগ প্রতাপ তুমহারা। হ্যয় প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা॥
সাধু সন্ত কে তুম রাখওয়ার। অসুর নিকন্দন রাম দুলারা॥
অষ্টসিদ্ধি নউ নিধি কে দাতা। আস বর দিনহ জানকী মাতা॥
রাম রাসায়ন তুমহারে পাসা। সদা রহো রঘুপতি কে দাসা॥
তুমহারে ভজন রাম কো পায়ে। জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরায়ে॥
অন্তকাল রঘুপতি পুর যায়ে। যেখানে জন্ম হরিভক্ত কহায়ে॥
অউর দেবতা চিত্ত না ধরৈ। হনুমত সেয়ি সর্ব সুখ করৈ॥
সঙ্কট কাটৈ মিটৈ সব পীরা। জো সুমিরৈ হনুমত বলবীরা॥
জয় জয় জয় হনুমান গোঁসাই। কৃপা করহু গুরুদেব কি নায়ি॥
জো শত বার পাঠ কর কোই। ছুটহি বন্দি মহা সুখ হোই॥
জো যাহ পড়ৈ হনুমান চালীসা। হোয় সিদ্ধি সাখি গৌরীশা॥
তুলসীদাস সদা হরিচেরা। কিজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা॥
দোহা:
পবন তনয় সঙ্কট হরণ – মঙ্গল মূর্তি রূপ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ॥
সিয়াবর রামচন্দ্র কি জয়। পবনসুত হনুমান কি জয়।
হনুমানজির আরতি (Hanuman Aarti):
আরতি কিজৈ হনুমান ললা কি, দুষ্ট দলন রঘুনাথ কলা কি।।
জাকে বল সে গিরিবর কাঁপে। রোগ-দোষ জাকে নিকট না ঝাঁকে।।
অঞ্জনী পুত্র মহাবলদায়ী। সন্তান কে প্রভু সদা সহায়ী।।
আরতি কিজৈ হনুমান ললা কি, দুষ্ট দলন রঘুনাথ কলা কি।।
লঙ্ক বিধ্বংস কিয়ে রঘুরাই। তুলসীদাস প্রভু সদা সহায়ী।।
আরতি কিজৈ হনুমান ললা কি, দুষ্ট দলন রঘুনাথ কলা কি।।
হনুমানজি বীজ মন্ত্রের জপ:
মন্ত্র “ॐ हं हनुमते नमः” একটি শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হনুমান মন্ত্র, যা ভক্তরা হনুমানজির কৃপা লাভের জন্য জপ করেন। আসুন এই মন্ত্রের প্রতিটি অংশের বাংলা অর্থ জানি:
ॐ (Om):
ব্রহ্মাণ্ডের মূল ধ্বনি এবং সৃষ্টির উৎস, যা হিন্দু ধর্মে পরম সত্য বা ব্রহ্মের প্রতীক। এই মন্ত্রে, ভক্ত হনুমানজির মহাশক্তির সাথে যুক্ত হন।
हं (Ham):
“হম” একটি বীজ মন্ত্র, যা বায়ু উপাদানের প্রতীক। হনুমানজি, যিনি পবন দেবতার পুত্র, তাই এটি তাঁর শক্তি, গতি ও প্রতিরক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।
हनुमते (Hanumate):
“হনুমতে” মানে হনুমানজির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রকাশ করা। এটি তাঁকে আহ্বান জানাতে ব্যবহৃত হয়।
नमः (Namah):
“নমঃ” মানে “আমি প্রণাম করি”। ভক্ত হনুমানজিকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে প্রণাম করে রক্ষা ও আশীর্বাদ কামনা করে।মন্ত্রের অর্থ:
প্রত্যেক ভোগ শ্রদ্ধা সহকারে অর্পণ করলে ভক্ত হনুমানজির কৃপা লাভ করে।
উপসংহার:
হনুমান চালীসা শুধু একটি ভক্তি গান নয়, এটি একজন ব্যক্তিকে মানসিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করার উপায়।
মন্ত্রের অর্থ:
“ॐ हं हनुमते नमः” অর্থ হল “আমি হনুমানজিকে প্রণাম করি, যিনি শক্তি, জ্ঞান ও ভক্তির প্রতীক, এবং আমি তাঁর কৃপা কামনা করি।”
“ॐ হং হনুমতে নমঃ” মন্ত্রের উপকারিতা:
নেতিবাচক শক্তির থেকে সুরক্ষা:
এই মন্ত্র জপ করলে সাধক নেতিবাচক শক্তি, অশুভ প্রভাব এবং ভয়ের থেকে সুরক্ষা পান।
শক্তি এবং সাহস বৃদ্ধিতে সহায়ক:
নিয়মিত এই মন্ত্র জপ করার মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জিত হয়, যা জীবনের চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হতে সাহস জোগায়।
ধ্যান এবং দৃঢ়তায় উন্নতি:
এই মন্ত্র মনোযোগ এবং শৃঙ্খলা বাড়ায়, যা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
ভক্তির বৃদ্ধি:
এই মন্ত্র জপ করলে হনুমানজির প্রতি গভীর ভক্তি এবং আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন হয়, যা মানসিক শান্তি, আনন্দ এবং সন্তুষ্টি এনে দেয়।
বাধা দূরীকরণ:
যেমন হনুমানজি শ্রী রামের পথে বাধা অপসারণ করেছিলেন, তেমনি এই মন্ত্র জীবনের সমস্যাগুলি ও চ্যালেঞ্জগুলো দূর করতে সহায়ক হয়।
এই মন্ত্র বিশেষত মঙ্গলবার এবং শনিবারে জপ করা হয়, যেগুলি হনুমানজির শুভ দিন হিসেবে বিবেচিত।
হনুমান বন্দনার গুরুত্ব:
হনুমান বন্দনা শ্রী হনুমানজির ভক্তি এবং মহিমার গান। এটি হনুমানজির আরতি ও চালীসার সঙ্গে গাওয়া হয়, যা ভক্তের জীবনে ভক্তি ও ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। এই বন্দনা দ্বারা ভক্ত হনুমানজির বিশেষ কৃপা লাভ করেন এবং তাঁর সকল কষ্ট দূর হয়।
হনুমানজির ভোগ:
লাড্ডু (চানার লাড্ডু):
লাড্ডু বিশেষভাবে হনুমানজিকে অর্পণ করা হয়, বিশেষ করে চানার লাড্ডু। এটি হনুমানজির শক্তি ও উদ্যমের প্রতীক।কেন: চানার লাড্ডু হনুমানজির সরল ও সত্য স্বভাবকে ব্যক্ত করে। এটি ভক্তদের কাছে প্রিয় এবং হনুমানজিকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিবেদন করা হয়।
পানি ও মধু:
পানি ও মধুও হনুমানজিকে অর্পণ করা হয়। মধুর মিষ্টতা এবং পানির পবিত্রতা হনুমানজির প্রেম ও ভক্তিকে প্রকাশ করে।কেন: মধু ও পানি পবিত্রতা এবং শুভতার প্রতীক। এটি ভক্তির গভীরতা উপলব্ধি করতে এবং হনুমানজিকে সন্তুষ্ট করতে সহায়ক।
ফল (কলা, আপেল):
কলা ও আপেলের মতো ফলও হনুমানজিকে অর্পণ করা হয়। বিশেষ উপলক্ষে এগুলি নিবেদন করা হয়।কেন: ফল সতেজতা এবং স্বাস্থ্যের প্রতীক। এটি হনুমানজির প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান প্রকাশ করে।
সুপারি ও লবঙ্গ:
সুপারি ও লবঙ্গও ভোগের অংশ হিসেবে নিবেদন করা হয়। বিশেষত পূজার শেষের দিকে এগুলি অর্পণ করা হয়।কেন: সুপারি ও লবঙ্গ পূজায় পবিত্রতা এবং সমর্পণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি হনুমানজির পূজাকে সম্পূর্ণ ও কার্যকর করে তোলে।
সাল ও রেভড়ি:
সাল (মিষ্টি) এবং রেভড়িও হনুমানজিকে অর্পণ করা হয়। এগুলি ভোগের অংশ হিসেবে উপহার হিসেবে নিবেদন করা হয়।কেন: মিষ্টি আনন্দ ও সুখের প্রতীক। হনুমানজিকে মিষ্টি ভোগ নিবেদন করে ভক্তি ও শ্রদ্ধার মিষ্টতা প্রকাশ করা হয়।
ভোগ অর্পণের পদ্ধতি
- পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতা:
পূজা স্থল পরিষ্কার রাখুন এবং সমস্ত ভোগ সামগ্রী পবিত্রতার সঙ্গে প্রস্তুত করুন। - অর্পণের নিয়ম:
ভোগ হনুমানজির সামনে রাখুন এবং প্রথমে তাঁর প্রতি মনোযোগ দিন। তারপর ভোগ নিবেদন করার সময় নমস্কার করুন এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন। - প্রসাদ বিতরণ:
ভোগ নিবেদন করার পর প্রসাদ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করুন। এটি হনুমানজির কৃপার প্রতীক এবং সকলকে উপকৃত করে।
ভোগ নিবেদন করলে ভক্তরা হনুমানজির কৃপা লাভ করেন এবং তাঁদের ভক্তি প্রকাশ করতে সক্ষম হন। ভোগ নিবেদনের সময় সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং সমর্পণের সাথে তা করতে হবে।
উপসংহার:
হনুমান চালীসা শুধুমাত্র একটি ভক্তিমূলক গান নয়, এটি ব্যক্তিকে মানসিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করার একটি মাধ্যম। হনুমানজির আরতি এবং বন্দনার সঙ্গে চালীসার পাঠ ভক্তদের আধ্যাত্মিক শান্তি ও শক্তি প্রদান করে। এই পবিত্র স্তোত্র নিয়মিত পাঠ করলে জীবনের সকল কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার শক্তি পাওয়া যায়।
Read Also
Sundarkand Part 2 | Sundarkand Part 3 | Sundarkand Part 4 | Sundarkand Part 5 | Sundarkand Part 6 | Sundarkand Part 7 | Sundarkand Part 8 | Sundarkand Part 9 | Sundarkand Part 10
Important Links
Hanuman Chalisa in Hindi | Hanuman Chalisa in Kannada | Bajrang Baan in English | Hanuman Ashtak | Hanuman Chalisa in Assamese